You are currently viewing আপওয়ার্ক কি? আপওয়ার্ক এ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?

আপওয়ার্ক কি? আপওয়ার্ক এ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?

আপওয়ার্ক কি?

আপওয়ার্ক হচ্ছে একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে ক্লায়েন্ট ও ফ্রীলান্সারদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক কাজ করার জন্য একটি সোর্স প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় এক কোটি ফ্রিল্যান্সার রেগুলার কাজ করে চলেছে। এই মূহূর্তে আপওয়ার্কে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪ লক্ষের উপর কাজ রয়েছে। এই সাইটটিতে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য “একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী” হিসেবে অথবা “ঘন্টা চুক্তি হিসাবে অর্থ প্রাপ্তি” উভয় প্রকারের কাজ পাওয়া যায়

আপওয়ার্ক পটভূমি

আপওয়ার্ক এর পূর্বের নাম ছিল ওডেস্ক। বিশ্বব্যাপী চাকরি খোজ করার জন্য একটি বাজারভিত্তিক কোম্পানি যার লক্ষ্য হলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন স্কিল অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের  কর্মসংস্থান এর সুযোগ করে দেয়া। ২০০৩ সালে ওডেস্ক (রেড উড সিটি, সি এ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গ্রিসের ব্যবসায়িক ঠিকাদার অডিসিয়াস সাতালস এবং স্ত্রাতিস কারামানলাকিস। ২০১৩ সালে ইল্যান্স ওডেস্ক এর সাথে যোগ দিয়ে আপওয়ার্ক নামে যাত্রা শুরু করে

আপওয়ার্ক ফ্রীলান্সারদের অনলাইনে একক অথবা দলভিত্তিক কাজের অনুমোদন করে বায়ার এখানে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজের বিনিময়ে অর্থ পরিশোধ করে থাকেন, তাই প্রাযুক্তিক এই উৎকর্ষকে সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে ‘নো ডেস্ক’। যে-কেউ যেকোনো স্থান থেকে এখানে কাজ করতে পারেন।

আপওয়ার্কের বৈশিষ্ট্যসমূহ

আপওয়ার্কে পূর্বে পরিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও এখন আর পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। এখন শুধু মাত্র আপওয়ার্কের নিয়মের উপর ভিত্তি করে একটি মাত্র পরীক্ষা দিতে হয় । যার নাম আপওয়ার্ক রেডিসেন টেস্ট। বর্তমানে এই টেস্টটিও দেয়ার আর প্রয়োজন পরে না।

টিম ম্যানেজমেন্ট 

আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে একজন বায়ার একই প্রোজেক্টে অথবা একাধিক প্রজেক্টে একসাথে অনেক কর্মী একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়োগ দিতে পারেন। টিম ম্যানেজ করার জন্য আপওয়ার্ক এ মেসেজ বক্সে একসাথে অনেক টীম মেম্বারগণ কাজের পরিধি ও বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। এছাড়াও ফ্রীলান্সারদের ঘন্টাচুক্তিতে কাজ করার জন্য টাইম ট্র্যাকার আছে এবং বায়ারদের জন্য রয়েছে কাজের স্ক্রিনশট দেখার ব্যাবস্থা।

আপওয়ার্কে কাজ করার নিয়ম

আপওয়ার্কে এর মাধ্যমে কাজ করতে চাইলে ক্লায়েন্ট অথবা ফ্রীলান্সার উভয়ের জন্যই প্রথমে একাউন্ট ওপেন করতে হয়। সেক্ষেত্রে একাউন্ট ওপেন করার সময় মেইল ব্যবহার করে মেইল ভেরিফিকেশন করে নিতে হয়। এরপর আপনার যাবতীয় তথ্য যেমন আপনার নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসহ যে ক্যাটাগরিতে কাজ করবে সেই অনুযায়ী স্কিল সেট করে দিতে হয়। এরপর টাইটেলে ও ঘন্টা চুক্তিতে আপনি কত রেট নিয়ে কাজ করবে সেটা আপনাকে নির্ধারণ করে দিতে হবে। ডেসক্রিপশন বক্সে আপনার সম্পর্কে বিশেষ করে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত লিখুন।  

ধাপে ধাপে প্রোফাইল সেটআপ করে নিতে হয়, এর মধ্যে আপনার দক্ষতা ও স্কিলের প্রমাণস্বরূপ পোর্টফলিও অ্যাড করুন। ফাইনালি ব্যাঙ্ক এ টাকা ট্রান্সফার করার জন্য আপনার নাম খোলা লিগাল একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট অ্যাড করুন। পরের ধাপে আপনাকে আপওয়ার্ক ভেরিফিকেশন এর জন্য কল করবে, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করুন। 

 

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুবিধাসমূহ

ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের দক্ষতা এবং বিশ্বস্ততা প্রমাণ করার জন্য কম্পিউটারে “UpWork Time Tracker” নামক একটি সফটওয়্যার ইন্সটলেশন করে নেয়া যায়। এই সফটওয়্যার একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ক্লায়েন্টের কাছে কাজে কর্মরত ফ্রিল্যান্সারের কাজের সর্বশেষ অবস্থা স্ক্রিনশট, কাজের মেমো, এক্টিভিটি লগ এবং ওয়েবক্যাম থাকলে ছবি প্রেরণ করে থাকে। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে প্রোভাইডার ইচ্ছে করলে দলের অন্যান্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করতে পারেন। উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স ব্যবহারকারীদের জন্য সফটওয়্যারটির আলাদা আলাদা সংস্করণ রয়েছে।

অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতিসমূহ

অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মতো আপওয়ার্ক থেকে অনেকগুলো পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টারকার্ড এবং ওয়ার ট্রান্সফার। ডেবিট কার্ডটির মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে অর্থ উত্তোলন করা যায়। এছাড়াও আপওয়ার্ক থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের মাধ্যমেও টাকা উত্তোলন করা যায়।

Leave a Reply