You are currently viewing ফ্রীল্যানসিং কি? কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন 2022 এ?

ফ্রীল্যানসিং কি? কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন 2022 এ?

আপনার মনে যদি প্রশ্ন থাকে ফ্রীল্যান্সিং কি এবং কিভাবে কাজ করে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনারই জন্য।

ফ্রিল্যান্সিং কথাটার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। ফ্রীল্যান্সিং কথাটি শুনলেই আমাদের মধ্যে একটু উৎসাহ দেখা যায়। আশেপাশে আমরা প্রায়ই শুনে থাকি ফ্রীল্যান্সিং করে অনেকেই ভালো আর্নিং করছেন। আবার আমরা এমনও শুনে থাকি যে, অনেকেই চাকুরী ছেড়ে বর্তমানে ফ্রীল্যান্সিং করছেন। ঘরে বসে কিভাবে ফ্রীল্যানসিং পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন তা নিয়ে হাজারও প্রশ্নের উত্তর জানতে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ শেষ করুন।

ফ্রীল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং কথাটার সহজ বাংলা মানে হলো “নিজেকে মুক্ত পেশায় যুক্ত করা”। এখন মুক্ত পেশা মানে কি, যে পেশায় কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই? না বিষয়টা ঠিক তাও নয়- তাহলে কি? 

বিষয়টা হলো, ধরুন আপনি কোনো কোম্পানীতে চাকুরী করবেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ওই কোম্পানির নির্দিষ্ট রুলস এন্ড রেগুলেশন মেনে ফুলটাইম দিয়ে আপনাকে চাকুরী করতে হবে। 

কিন্তু ফ্রীল্যানসিং যারা করেন তারা মূলত তাদের নিজের সময়কে নিজের মতো করে ব্যবহার করে যেকোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি কে সাপোর্ট প্রদান করে থাকেন। তাই এদেরকে অনেকটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট কন্ট্রাক্টরও বলা হয়ে হয়ে থাকে।

আপনি কেন ফ্রিল্যান্সার হবেন?

ইন্টারনেট দুনিয়ার কল্যানে আধুনিক বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব কাজ করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর দিকে ঝুঁকছে, কারণটা হলো স্বল্প সময়ে ও অতিরিক্ত খরচ বাঁচিয়ে অনলাইনে শুধুমাত্র একজন ফ্রীল্যান্সার কে হায়ার করে তাদের নিজের কাজগুলো করে নিতে পারছেন। 

এর জন্য কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত কোনো চার্জ বহন করতে হচ্ছে না, ফলে দিন দিন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রীল্যান্সারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে ফ্রীল্যান্সারদের পারিশ্রমিক এর পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে থাকে, যেটা লোকাল মার্কেটের তুলনায় অনেক বেশি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন “ আপনি কেন ফ্রীল্যান্সার হবেন “?

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

এই প্রশ্নটার উত্তর আপনাদের কাছেই রয়েছে। কারণ হলো যেকোন বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে চাইলে প্রথমেই যে জিনিসটার দরকার তাহলো-

  • যেকোন একটি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা
  • কমিউনিকেশন স্কিল হিসেবে ইংরেজি ব্যবহার করা
  • প্রযুক্তির সাথে নিজেকে সবসময় আপডেট রাখা
  • সততা, ধৈর্য্য ও কমিটমেন্ট রক্ষা করে চলা
  • নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখা
  • এবং সময় নষ্ট না করা

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন তা উপরে লিখিত আকারে প্রকাশ করা হল। উপরের সবগুলো গুণাবলী যদি আপনি ধারাবাহিকভাবে রক্ষা করে চলেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনি একজন দক্ষ ফ্রীল্যান্সারের খাতায় নাম লেখাতে পারবেন।

আপনি কোথা থেকে শুরু করবেন?

এই বিষয়টাও নির্ভর করছে আপনারই উপর। মানুষ চাইলে পারেনা এমন কাজ পৃথিবীতে নেই, কিন্তু বিষয় হলো সবাই সব বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। কিন্তু প্রত্যেক মানুষ চাইলে অন্তত একটি বিষয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারেন। 

সেক্ষেত্রে আপনার বয়স ও আপনার ক্যাপাবিলিটি একটা কমন ফ্যাক্ট। যদি আপনার কম্পিউটার এ বেসিক নলেজ থাকে তাহলে আপনি অ্যাডমিন সাপোর্ট (লিংক) দিয়ে শুরু করতে পারেন। কারণ আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে অ্যাডমিন সাপোর্ট ক্যাটাগরিতে কাজ পাওয়া তুলনামূলকভাবে বেশ সহজ। 

আমি এখানে যাস্ট একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন, মোশন গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বেশ কিছু পপুলার ক্যাটাগরিতে আপনি আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে নিজের ক্যারিয়ার এর যাত্রা শুরু করতে পারবেন।

পপুলার মার্কেটপ্লেস ফর ফ্রীল্যান্সিং-

বর্তমানে Upwork, Fiverr, Toptal, Freelancer.com, People Per Hour, 99 Design এই মার্কেটপ্লেসগুলো বেশ জনপ্রিয়। ক্লায়েন্ট ও ফ্রীল্যান্সার এর চাহিদা অনুযায়ী Upwork, Fiverr অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে । আপনি চাইলে যেকোনো মার্কেটপ্লেসে নিজের একটা বৈধ একাউন্ট ওপেন করে কাজ শুরু করতে পারেন।

মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ওপেনিং-

মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ওপেন করতে গিয়ে প্রথমেই আমরা যে ভুলগুলো করতে থাকি তা হলো কোন স্কিল ডেভেলপমেন্ট না করেই আগে গিয়ে আমরা মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ওপেন করে থাকি, আবার একাউন্ট ওপেনিং করতে গিয়ে নানারকম ভুলভ্রান্তি করে থাকি, ফলে একাউন্ট সাময়িকভাবে চালু হলেও ফাইনাল ভেরিফিকেশন এ আটকে যায়। 

ফলে কিছুদিন পর একাউন্টগুলো পার্মানেন্ট রেস্ট্রিক্টেড মানে বাতিল হয়ে যায়। আপনাকে মনে রাখতে হবে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে একটি একাউন্ট একটি অ্যাসেট, তাই সঠিকভাবে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে। একাউন্ট ওপেনিং এর বিস্তারিত জানতে এই ভিডিও (লিংক) টি দেখে নিতে পারেন।

নিজেকে কিভাবে তৈরি করবেন?

একটা কথা মনে রাখবেন, পরিশ্রম যেমন সৌভাগ্যের প্রসূতি আবার মেধাহীন শ্রমও কিন্তু মূল্যহীন । যেকোনো সফলতার পিছনে থাকে একটি সঠিক ওয়ার্ক প্ল্যান এবং সঠিক ফ্রীল্যান্সিং গাইডলাইন (লিংক) । 

সুতরাং আপনাকে একটি নির্দিষ্ট প্ল্যান ফলো করে সামনের দিকে আগাতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম ধাপে কাজ শেখার জন্য বা প্র্যাকটিস করার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি শিডিউল সেট করে নিবেন এবং একটা টার্গেট ডিউরেশন সেট করে নিবেন, সেটা হতে পারে ১ মাস অথবা ২ মাস অথবা আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী। 

নিজের কাজের অভ্যাসের জন্য আপনার ডেস্ক এ প্রয়োজনীয় খাতা, কলম সব রাখবেন। কারণ আপনি ধরেই রাখেন এই গাইডলাইন প্রোপারলি ফলো করতে পারলে আপনি একজন ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন।

উপসংহার

তাহলে ফ্রীল্যান্সিং মানে কি দাঁড়ালো? নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন ভিত্তিক যেকোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে সাপোর্ট প্রদান করে নিজের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখা। 

এককথায় বলা যায় নিজেই নিজের বস হওয়া। এজন্য আপনি অনলাইন অনেক মার্কেটপ্লেস এর বাইরেও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থেকে অনেক ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন। 

 আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে আপনি সত্যি একজন ফ্রীল্যান্সার হবেন, তাহলে ই-লার্নিং একাডেমির অ্যাডভান্স কোর্সগুলোর যেকোন একটি হতে পারে আপনার ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার এর সঠিক পদক্ষেপ।

Leave a Reply