You are currently viewing কিভাবে ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করবেন?

কিভাবে ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করবেন?

কিভাবে ইউটিউব ক্যারিয়ার শুরু করবেন?

আমরা কমবেশি সবাই প্রায় শখের বসে ভিডিও করে থাকি আমাদের শখের মোবাইল দিয়ে। আমরা অনেকের মুখেই শুনে থাকি যে ইউটিউব থেকে আর্নিং করছেন। আমরা শুধু গল্পই শুনে থাকি, তবে আজ আর গল্প নয় প্র্যাকটিক্যালি কিভাবে ইউটিউব এর জার্নি শুরু করা যায় সে বিষয়ে কথা বলবো।

শুরু করার জন্য নিচের স্টেপগুলো ধারাবাহিকভাবে ফলো করুন-

গুগল একাউন্ট

শুরুতেই যে বিষয়টি আপনার লাগবে সেটা হলো একটি গুগল একাউন্ট, অর্থাৎ জিমেইল একাউন্ট।যদি আপনার পূর্বের কোনো একাউন্ট তৈরি করা থাকে আপনি চাইলে সেটা ব্যবহার করেও শুরু করতে পারেন। আর যদি আপনার কোনো একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই নতুন একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। নতুন একাউন্ট কিতৈরি করার পরে অবশ্যই একটি ব্যাকআপ একাউন্ট বা রিকোভারি একাউন্ট দিয়ে রাখবেন। এতে যদি আপনার একাউন্ট এ লগ ইন করতে কোনো ঝামেলা হয় সেক্ষেত্রে আপনি এই একাউন্ট দিয়ে রিকোভার করতে পারবেন। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন যেটা আপনি মোবাইল নম্বর দিয়ে করতে পারবেন। আপনার একাউন্ট যদি কখনো হ্যাক হয় বা লগ ইন করতে প্রবলেম হয় তাহলে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এর মাধ্যমে আপনি OTP কোড এর মাধ্যমে একাউন্ট এ লগইন করতে পারবেন।

ইউটিউব ব্র্যান্ড একাউন্ট

ইউটিউব এ যাত্রা শুরু করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে ব্র্যান্ড একাউন্ট সেটআপ করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে ইউটিউব এ লগ ইন করার পর ডানপাশে থাকা গিয়ার্ আইকন এ ক্লিক করে ইউটিউন সেটিংস এ যেতে হবে। তারপর আপনাকে একটি বিজনেস নাম দিতে হবে, সেখানে আপনি আপনার ব্র্যান্ড এর নাম দিয়ে সেভ করে দিতে হবে। 

কাস্টমাইজ ব্র্যান্ড একাউন্ট

ব্র্যান্ড নেম দেয়ার পরে আরো কিছু কাজ কমপ্লিট করতে হবে যাতে আপনার ব্র্যান্ড প্রফেশনাল মানের হয়ে থাকে। সেজন্য কাস্টমাইজ চ্যানেল বাটন এ ক্লিক করে ডেসক্রিপশন, বিজনেস লোকেশন, বিজনেস মেইলসহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে একাউন্ট কমপ্লিট করতে হবে।

এছাড়াও আপনার চ্যানেল এর জন্য লোগো ও কভার পেজ তৈরি  করে নিয়ে চ্যানেল এ অ্যাড করতে হবে। স্পেসিফিক কীওয়ার্ড টার্গেট করে আপনার চ্যানেল কে নির্দিষ্ট অডিয়েন্স এর জন্য ভিউএবল করতে পারবেন।   

কনটেন্ট ডিসিশন

সবকিছু হয়ে গেলে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে যে আপনি কি ধরণের কনটেন্ট প্রমোট করতে চাচ্ছেন। এলেমেলো কনটেন্ট প্রমোট না করে শুরুর দিকে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং ওই বিষয়ের উপর রেগুলার কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে। চ্যানেলে এর ভিজিবিলিটি বাড়তে থাকলে পরবর্তীতে আপনি সাব ক্যাটাগরি করে কনটেন্ট তৈরি করে প্রমোট করতে পারেন।  

চ্যানেল ট্রেইলার

আপনার চ্যানেল এর জন্য অবশ্যই ভালো একটি ট্রেইলার তৈরি করে নিবেন এবং সেটা যেন আপনার ব্র্যান্ড কে রিফ্লেক্ট করে। একটি ভালো ট্রেইলার আপনার কাস্টমারকে আপনার সম্পর্কে পরিচয় করে দিবে। 

প্রথম ভিডিও আপলোড করুন

আপনার টার্গেট অডিয়েন্স রিসার্চ করে আপনার ব্র্যান্ড ও কমুইনিকেশন ফোকাস করে মানসম্মত ভিডিও করুন। ফিল্মিং ও এডিটিং শেষ হলে আপনার চ্যানেল এ ভিডিও আপলোড করুন।  

ভিডিও অপ্টিমাইজ করুন

আপনার ভিডিও আপলোড করা শেষ হলে এবার আপনার ভিডিওটিকে সুন্দর করে অপ্টিমাইজ করতে হবে। অপ্টিমাইজ করার জন্য আপনার সুন্দর একটি টাইটেল, ট্যাগ ও ডেসক্রিপশন যেখানে আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড দিয়ে অপ্টিমাইজ করতে হবে যাতে গুগল সার্চ ইঞ্জিন প্রথম পেজ এ খুঁজে পায়। 

Leave a Reply