থিওরী অফ ওয়েব ডিজাইন
আপনি যদি ভালো একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে চান অথবা ওয়েবসাইট ডিজাইন ফিল্ডে একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছে আছে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েব ডিজাইনের প্রাথমিক নীতিগুলি শিখতে হবে। এই নীতিগুলো না জানলে আপনি ভালো একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন না। ওয়েব ডিজাইন একটি নান্দনিক ফিল্ড, যেখানে শৈল্পিক বিকাশের মাধ্যমে একজন ভিজিটর এর চাহিদা পূরণের জন্য ভালো একটি অনুভূতি পেতে পারে।
নিচে আমার আজ কিছু ওয়েব ডিজাইনের থিওরী নিয়ে আলোচনা করবো-
লেআউট
লেআউট একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ, কেননা ডিজাইন করার ক্ষেত্রে আপনি যদি ভুল লেআউট করেন তাহলে ডিজাইনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ভিজিটর বাজে একটি এক্সপেরিয়েন্স পাবে। একটি ওয়েবসাইটকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে চাইলে ওয়েবপেজগুলির মধ্যে ক্লিয়ার নেভিগেশন থাকতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে৷
কালার স্কীম
কালার স্কীম একটি সাইকোলজিক্যাল বিষয় এবং ওয়েব ডিজাইন করার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কালার স্কীম ওয়েবসাইটে মূলত ৩টি জায়গাতে কাজ করে সেগুলো হলো-
- বুস্ট কনভার্শন
- ব্র্যান্ড ইনডেন্টিটি প্রতিষ্ঠিত করে
- ইউজার এটেনশন ড্র করে
টাইপোগ্রাফি
একজন ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার সময় বুঝতে হবে কালার স্কিম এর মতোই ফন্ট নির্বাচন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয়ই একটি ব্যবসার পরিচয় উপস্থাপন করে থাকে। আদর্শগতভাবে একটি ওয়েবসাইটের ফন্ট পড়তে যদি সমস্যা হয়ে থেকে তাহলেও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স খারাপ হবে। এছাড়া বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ভেদে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ম্যাচ করে টাইপোগ্রাফি সিলেকশন করা হয়ে থাকে। যেমন-
ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে যে ফন্ট আপনি ব্যবহার করবেন সেটা অনেকটাই স্টাইলিস ফন্ট হতে হবে। আবার যদি আপনি ব্লগ ওয়েবসাইট কের কথা চিন্তা করেন তাহলে আপনারকে অবশ্যই রিডিং ফ্রেন্ডলি ফন্ট নির্বাচন করতে হবে।
ইউ এক্স – ইউ আই ডিজাইন
একটি ওয়েসাইটে ফাঙ্কশনাল, নাভিগেশনাল ও এক্সেসেবিলিটি এই ৩টি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইন এ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ও ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন ২টাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইউজার এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ওয়েবসাইট এর ইন্টারঅ্যাকশন কতটা ডিজিটাল তা ইউ-আই এলিমেন্টস এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায়।